মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটনোর ক্ষেত্রে ৩টি সেক্টর গভীরভাবে অবদান রাখছে। তন্মধ্যে অভিবাসন খাত থেকে প্রাপ্ত রেমিটেন্সের নেট বৈদেশিক মুদ্রা আয় গার্মেন্টের চেয়ে ৩গুণ বেশি। অভিবাসীর ঘামের টাকা সচল রাখছে দেশের অর্থনীতির চাকা। বর্তমানে বাংলাদেশর এক কোটির উপর মানুষ এখন পৃথিবীর নানা দেশে অভিবাসী হিসাবে কাজ করছেন। অভিবাসী শ্রমিকদের অর্ধেকই অদক্ষ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কারিগরী প্রশিক্ষণের অভাবে এসব শ্রমিকরা বিদেশ থেকে বড় অংকের অর্থোপাজনে ব্যর্থ হচ্ছেন। অধিকাংশ শ্রমিক সঠিক তথ্য না জেনে বিদেশ যাচ্ছেন। অদক্ষতার কারণে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা মূলত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ পান। এক্ষেত্রে তাদের বেতন খুব কম হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় না। ফলে তারা পদে পদে হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইএমও এর তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় হয় বাংলাদেশী শ্রমিকদের। কারণ তাদের প্রদত্ত অর্থের ৬০ ভাগ ভোগ করে দালাল ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় আয়ের অংশীদার অভিবাসন খাতে আধুনিকীকরণ করে গতিশীলতা আনয়ন জরুরী হয়ে পড়ে।
১৮ নভেম্বর সকালে ঈদগাঁওতে ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল একশন (ইপসা) আয়োজিত নিরাপদ অভিবাসন কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সূচনা ও সভাপতির বক্তব্য দেন ঈদগাঁওর সিনিয়র সাংবাদিক ও শিক্ষক মো. রেজাউল করিম।
এতে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক শেফাইল উদ্দীন, সাংবাদিক মিছবাহ উদ্দীন, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মোহাম্মদ ইবরাহীম, শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস, মেম্বার আবদুল হাকিম।
দলীয় কাজ উপস্থাপন করেন শেফাইল উদ্দীন ও মো. ইবরাহীম। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান নুর জাহান, মেম্বার সালেহা বেগম, মেম্বার জিয়াউল করিম, সংবাদকর্মী এইচ.এম রুস্তম আলী, ব্যবসায়ী নুরুল হুদা, হাফেজ বেলাল উদ্দীন, হারুনর রশিদ, শিক্ষার্থী আহসান হাবিব টিপু, রবিউল আলম প্রমুখ।
বৃটিশ কাউন্সিল ও প্রকাশ এর সহায়তায় ইপসা- ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রজেক্টের আওতায় বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তুলে ধরতে সমাজ পরামর্শমূলক এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সংস্থার পক্ষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রজেক্ট ম্যানেজার আবদুচ ছবুর, গবেষণা ও শিক্ষণ কর্মকর্তা আবু তাহের এবং ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোহাম্মদ ইয়াছিন। উল্লেখ্য, নিরাপদ অভিবাসন ইস্যুতে এ সংস্থাটি রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা এবং কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে কাজ করছে। শীঘ্রই বিদেশ গমনেচ্ছুদের সহায়তা ও তথ্য দান করতে ঈদগাঁওতে একটি সহায়তা কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।